একটু সুখ
দুপুর। ফাল্গুনের শেষ । চৈত্রের শুর। নীল আকাশের বুকে কিছু ধব ধবে সাদা মেঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে। চারপাশে রৌদ্রে খা খা করছে। ছাতা রিক্সার ছাউনি উঠিও রেহাই পাচ্ছে না মানুষ। উত্তাপে যেন জ্বলে যাবে সারা পৃথিবী। নাহিদ ফ্লাইওভারের নিচে শুয়ে আছে। মগবাজার মোড়ের ফ্লাইওভারের নির্মান শ্রমিক সে। বয়স সতেরো বা আঠারো হবে। এই দুপুরে ছায়ার খোঁজে সে, ফ্লাইওভারের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। কাঠের একটি বেঞ্চে শুয়ে আছে। সারাবেলা পরিশ্রমে তাকে ক্লান্ত লাগছে। মাঝে মাঝে উত্তাপ বাতাস এসে লাগছে তার শরীরে। এই গরমে একটু উত্তাপ হাওয়াও প্রশান্তির। তার পাশের সবাই ঘুমাচ্ছে। সে জেগে আছে। তার ঘুম পাচ্ছে না। সে বুকের উপর আঙ্গুল দিয়ে খেলা করছে। বিড় বিড় করে গান ঝরছে।
“আমাকে আমার মত থাকতে দাও...........”
সারাদিন পরিশ্রমের পর একুটখানি সুখ। দোষের কি? মনের আনন্দে সে গান গাইতেই পারে। সকাল সকাল কাজে আসে। তারপর সারাদিন চলে এক নাগারে কাজ, শেষ হয় সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে। দক্ষিণা হাওয়ায় শরীরটা কিছুটা শীতল লাগছে। নাহিদের চোখ বুঝে আসছে। গানেও জড়তা চলে এসেছে। আঙ্গুলগুলো আর খেলতে চাচ্ছে না, তার বুকের উপর।
কি শান্তি? পশমের মত নরম বিছানা। আরামে সুখে মধ্যে বিছানা বিছানায় সুখ। কে যেন হাওয়া করছে হাত পাখা দিয়ে? ঘরে যেন ভরা ঠান্ডা ও শুভাষে।‘এ হারামজাদা’ কাম শেষ করবো কেডা? তোর বাপে। ও নাহিদদা। ঐ ছ্যামড়া। উঠোছ না বেটা? মরছস নাকি? ঐ ছ্যামড়া।
হঠাৎ করে একটু থাপড় এসে পড়ে নাহিদের গালে। নাহিদ হুরমুড় করে উঠে বসে। সে এতোক্ষন স্বপ্ন দেখতে ছিল। কণ্ট্রাক্টর তাকে ডাকতে এসেছে। সে থাপড় দিয়েছে তাকে। পাশের সবাই কাজ করছে। সে একা শুধু ঘুমাচ্ছিল।
কিরে হারামজাদা? রাইতে কি চুরি করোছস?
না ওস্তাদ, একটু হাওয়া লাগছিল তো। তাই ঘুমাইয়া পড়ছি।
হ হয়েছে। অনেক ঘুমাইছস। কামে লাগ।
হ, যাইতেছি ওস্তাদ।
নাহিদ কাজের দিকে এগিয়ে যায়। তার সাথে কাজ করে নাজমুল। নাজমূল, তার দিকে একটি হামার এগিয়ে দেয়।
এই নে। বারি দে তুই।
হামারটা নেয় নাহিদ। নাজমূল ছ্যানি ধরে।
নাহিদ বাড়ি দেয় ছ্যানির উপরে। পুরোটা রাস্তাটা ওদের ভাঙ্গতে হবে। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর শরীরটা ছেড়ে দেয়। কেমন যেন ম্যাচ ম্যাচ করে? নাহিদের শরীরে যেন শক্তিই নেই। সে হামার উঠিয়ে বাড়ি মারছে ঠিকই। কিন্তু বাড়ি মারার পর মনে হচ্ছে আর পারবে না। যেন সব শক্তি শেষ। কিন্তু কিছুই করার নেই নাহিদের। আবার উঠাতে হয় হামার। আবার বাড়ি মারতে হয় । এভাবেই চলতে থাকে ওদের রাস্তা ভাঙ্গা। এই হামার থামা মানে ওর পেট থামানো। তাই থামানো যাবে না এই হামার। চালাতে হবে যদি সর্বশক্তি শেষ হয়ে যায় তাও। মাথার উপর সুর্যটা প্রকোট হয়ে আছে। সে যেন মজা পাচ্ছে মানুষের কষ্ট দেখে। রৌদ্রের উত্তাপে সারা শরীর বেয়ে ঝরছে ঘাম । হাত ঘামে পিছলে যাচ্ছে। হাত মুছে আবার বাড়ি মারছে হামার দিয়ে। নাজমূল বলে, কিরে? কি বাড়ি মারছে? মাটি ও দি নড়েও না। নাহিদ আরো শক্তি দিয়ে বাড়ি মারে। কিন্তু দুপুর বেলা। শরীর নিসতেজ হয়ে আসছে। কন্ট্রাক্টর এদিকে আসছে। নাহিদ তাই শক্তি দিয়ে বারি মার। কিন্তু সেই বারি টা ছ্যানিতে লাগেনি। লেগেছে নাজমুলের হাতে। নাজমূল আর্তনাদ করে
ওরে গেল-গেল। আমার হাত গেল। নামজুমল ছ্যানি ছেড়ে হাত চেপে ধরেছে। নাহিদ ও নাজমুলের রক্ত মাখা হাত চেপে ধরেছে। কিন্তু রক্ত বন্ধ হচ্ছে না। নাজমুলে চিৎকার শুনে সব শ্রমিক ছুটে এসেছে। তারা চারপাশে ঘেরাও করে দাড়িয়েছে। কণ্ট্রাক্টরও এসেছে। নাহিদ নাজমুলের হাতে গামছা পেচাচ্ছে। কন্ট্রাক্টর বলল।
এই হারামজাদার আজকে হইছে কি? করছে টা কি দেখছো? পোলাটার হাতটাই বাদ কইরা দিচ্ছে। হামার কি আকাশের দিকে তাকাইয়া মারো? নাহিদ কিছু বলছে না। সে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। সে নাজমুলের হাতের দিকে তাকিয়ে আছে। এখনও রক্ত পড়ছে। থামানো যাচ্ছে না। কয়েকজন মিলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে । নাহিদের চোখ বেয়ে এক একা অশ্র“ নেমে এলো। এখন কি হবে। নাজমুলে হাত যদি আর ঠিক না হয়? ও যদি আর কাজ করতে না পারে? তাহলে ওর সংসার কি ভাবে চলবে? ওর এক মা আছে। সে বৃদ্ধ। বাবা মারা গেছে বছর দুয়েক হল। ওর মাকে কে দেখবে? কাজ করতে না পারলে, ওর মাকে খাওয়াবে কি? নাহিদ আবার সেই ব্যঞ্চিতে এসে বসল। এখনও শীতল হাওয়া আসছে। মনটা খারাপ হয়ে গেল। কিছুক্ষণ কাঁদতে ইচেছ করছে। কিন্তু কান্না আসছে না, নাজমূল চিকিৎসার খরচ কোথায় পাবে? নাকি তাকে দিতে হবে? যদি তাকে দিতে হয়। তাহলে তো ও বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারবে না। নাহিদের মন আরো খারাপ হয়ে গেল। বাড়িতে গতকাল রাতে কথা হয়েছে। মা ফোন করেছিল। ওর বাবা বৃদ্ধ। কোনো কাজ করতে পারে না। মা চোখে কম দেখে। তাকে একট চশমা কিনে দিতে হবে। বোনটা ক্লাস সিক্সে পড়ে। টাকা না পাঠাতে পারলে। সংসার ও চলবে না। বোনটার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে। কন্ট্রাক্টর কি তাকে টাকা দিবে? যদি নাজমুলের চিকিৎসার খরচ তার কাছ থেকে রেখে দেয়। দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় নাহিদ। সে কি করবে? সে কি কন্ট্রাকটর কাছে গিয়ে বলবে।
আমার টাকাটা দিবেন না। আমি খুব বিপদে আছি।
তা কি ......কণ্ট্রাক্টর। কি জানি? নাও মানতে পারে। খুব রাগী কন্ট্রাক্টর। মনে দয়া মায়া নেই বললেই চলে। এই চৈত্রের দিনে দক্ষিণা হাওয়ায় ভাল লাগছে। কিন্তু এই সুখ কি সইবে? এই সুখ তো ক্ষনিকের জন্য । একটু পর যখন কণ্ট্রাক্টর তার গলায় ধরে বলবে টাকাটা দে হারামজাদা।
তখন এই সুখ কোথায় উড়ে যাবে। দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়ে নাহিদ। এই একটু সুখের জন্য মানুষ কিনা করে। সারাদিন খাটুনির পর একটু সুখ। সবার প্রাপ্তি। নাহিদের ও তো অধিকার আছে এই সুখে। একটু শান্তির। কিন্তু থাকবে কি এই সুখ? যদি থাকে, তাও কতক্ষণ।যখণ কাজ করে তখন মনে চায় এই পৃথিবী ছেড়ে যদি চরে যেতে পারত সে? তাহলে কতো ....হবো। কেন? এই একটু সুখের জন্য তো ........সুখ। তুই এতো দামী...........মনে মনে বলে নাহিদ।
দুপুর। ফাল্গুনের শেষ । চৈত্রের শুর। নীল আকাশের বুকে কিছু ধব ধবে সাদা মেঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে। চারপাশে রৌদ্রে খা খা করছে। ছাতা রিক্সার ছাউনি উঠিও রেহাই পাচ্ছে না মানুষ। উত্তাপে যেন জ্বলে যাবে সারা পৃথিবী। নাহিদ ফ্লাইওভারের নিচে শুয়ে আছে। মগবাজার মোড়ের ফ্লাইওভারের নির্মান শ্রমিক সে। বয়স সতেরো বা আঠারো হবে। এই দুপুরে ছায়ার খোঁজে সে, ফ্লাইওভারের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। কাঠের একটি বেঞ্চে শুয়ে আছে। সারাবেলা পরিশ্রমে তাকে ক্লান্ত লাগছে। মাঝে মাঝে উত্তাপ বাতাস এসে লাগছে তার শরীরে। এই গরমে একটু উত্তাপ হাওয়াও প্রশান্তির। তার পাশের সবাই ঘুমাচ্ছে। সে জেগে আছে। তার ঘুম পাচ্ছে না। সে বুকের উপর আঙ্গুল দিয়ে খেলা করছে। বিড় বিড় করে গান ঝরছে।
“আমাকে আমার মত থাকতে দাও...........”
সারাদিন পরিশ্রমের পর একুটখানি সুখ। দোষের কি? মনের আনন্দে সে গান গাইতেই পারে। সকাল সকাল কাজে আসে। তারপর সারাদিন চলে এক নাগারে কাজ, শেষ হয় সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে। দক্ষিণা হাওয়ায় শরীরটা কিছুটা শীতল লাগছে। নাহিদের চোখ বুঝে আসছে। গানেও জড়তা চলে এসেছে। আঙ্গুলগুলো আর খেলতে চাচ্ছে না, তার বুকের উপর।
কি শান্তি? পশমের মত নরম বিছানা। আরামে সুখে মধ্যে বিছানা বিছানায় সুখ। কে যেন হাওয়া করছে হাত পাখা দিয়ে? ঘরে যেন ভরা ঠান্ডা ও শুভাষে।‘এ হারামজাদা’ কাম শেষ করবো কেডা? তোর বাপে। ও নাহিদদা। ঐ ছ্যামড়া। উঠোছ না বেটা? মরছস নাকি? ঐ ছ্যামড়া।
হঠাৎ করে একটু থাপড় এসে পড়ে নাহিদের গালে। নাহিদ হুরমুড় করে উঠে বসে। সে এতোক্ষন স্বপ্ন দেখতে ছিল। কণ্ট্রাক্টর তাকে ডাকতে এসেছে। সে থাপড় দিয়েছে তাকে। পাশের সবাই কাজ করছে। সে একা শুধু ঘুমাচ্ছিল।
কিরে হারামজাদা? রাইতে কি চুরি করোছস?
না ওস্তাদ, একটু হাওয়া লাগছিল তো। তাই ঘুমাইয়া পড়ছি।
হ হয়েছে। অনেক ঘুমাইছস। কামে লাগ।
হ, যাইতেছি ওস্তাদ।
নাহিদ কাজের দিকে এগিয়ে যায়। তার সাথে কাজ করে নাজমুল। নাজমূল, তার দিকে একটি হামার এগিয়ে দেয়।
এই নে। বারি দে তুই।
হামারটা নেয় নাহিদ। নাজমূল ছ্যানি ধরে।
নাহিদ বাড়ি দেয় ছ্যানির উপরে। পুরোটা রাস্তাটা ওদের ভাঙ্গতে হবে। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর শরীরটা ছেড়ে দেয়। কেমন যেন ম্যাচ ম্যাচ করে? নাহিদের শরীরে যেন শক্তিই নেই। সে হামার উঠিয়ে বাড়ি মারছে ঠিকই। কিন্তু বাড়ি মারার পর মনে হচ্ছে আর পারবে না। যেন সব শক্তি শেষ। কিন্তু কিছুই করার নেই নাহিদের। আবার উঠাতে হয় হামার। আবার বাড়ি মারতে হয় । এভাবেই চলতে থাকে ওদের রাস্তা ভাঙ্গা। এই হামার থামা মানে ওর পেট থামানো। তাই থামানো যাবে না এই হামার। চালাতে হবে যদি সর্বশক্তি শেষ হয়ে যায় তাও। মাথার উপর সুর্যটা প্রকোট হয়ে আছে। সে যেন মজা পাচ্ছে মানুষের কষ্ট দেখে। রৌদ্রের উত্তাপে সারা শরীর বেয়ে ঝরছে ঘাম । হাত ঘামে পিছলে যাচ্ছে। হাত মুছে আবার বাড়ি মারছে হামার দিয়ে। নাজমূল বলে, কিরে? কি বাড়ি মারছে? মাটি ও দি নড়েও না। নাহিদ আরো শক্তি দিয়ে বাড়ি মারে। কিন্তু দুপুর বেলা। শরীর নিসতেজ হয়ে আসছে। কন্ট্রাক্টর এদিকে আসছে। নাহিদ তাই শক্তি দিয়ে বারি মার। কিন্তু সেই বারি টা ছ্যানিতে লাগেনি। লেগেছে নাজমুলের হাতে। নাজমূল আর্তনাদ করে
ওরে গেল-গেল। আমার হাত গেল। নামজুমল ছ্যানি ছেড়ে হাত চেপে ধরেছে। নাহিদ ও নাজমুলের রক্ত মাখা হাত চেপে ধরেছে। কিন্তু রক্ত বন্ধ হচ্ছে না। নাজমুলে চিৎকার শুনে সব শ্রমিক ছুটে এসেছে। তারা চারপাশে ঘেরাও করে দাড়িয়েছে। কণ্ট্রাক্টরও এসেছে। নাহিদ নাজমুলের হাতে গামছা পেচাচ্ছে। কন্ট্রাক্টর বলল।
এই হারামজাদার আজকে হইছে কি? করছে টা কি দেখছো? পোলাটার হাতটাই বাদ কইরা দিচ্ছে। হামার কি আকাশের দিকে তাকাইয়া মারো? নাহিদ কিছু বলছে না। সে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। সে নাজমুলের হাতের দিকে তাকিয়ে আছে। এখনও রক্ত পড়ছে। থামানো যাচ্ছে না। কয়েকজন মিলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে । নাহিদের চোখ বেয়ে এক একা অশ্র“ নেমে এলো। এখন কি হবে। নাজমুলে হাত যদি আর ঠিক না হয়? ও যদি আর কাজ করতে না পারে? তাহলে ওর সংসার কি ভাবে চলবে? ওর এক মা আছে। সে বৃদ্ধ। বাবা মারা গেছে বছর দুয়েক হল। ওর মাকে কে দেখবে? কাজ করতে না পারলে, ওর মাকে খাওয়াবে কি? নাহিদ আবার সেই ব্যঞ্চিতে এসে বসল। এখনও শীতল হাওয়া আসছে। মনটা খারাপ হয়ে গেল। কিছুক্ষণ কাঁদতে ইচেছ করছে। কিন্তু কান্না আসছে না, নাজমূল চিকিৎসার খরচ কোথায় পাবে? নাকি তাকে দিতে হবে? যদি তাকে দিতে হয়। তাহলে তো ও বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারবে না। নাহিদের মন আরো খারাপ হয়ে গেল। বাড়িতে গতকাল রাতে কথা হয়েছে। মা ফোন করেছিল। ওর বাবা বৃদ্ধ। কোনো কাজ করতে পারে না। মা চোখে কম দেখে। তাকে একট চশমা কিনে দিতে হবে। বোনটা ক্লাস সিক্সে পড়ে। টাকা না পাঠাতে পারলে। সংসার ও চলবে না। বোনটার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে। কন্ট্রাক্টর কি তাকে টাকা দিবে? যদি নাজমুলের চিকিৎসার খরচ তার কাছ থেকে রেখে দেয়। দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় নাহিদ। সে কি করবে? সে কি কন্ট্রাকটর কাছে গিয়ে বলবে।
আমার টাকাটা দিবেন না। আমি খুব বিপদে আছি।
তা কি ......কণ্ট্রাক্টর। কি জানি? নাও মানতে পারে। খুব রাগী কন্ট্রাক্টর। মনে দয়া মায়া নেই বললেই চলে। এই চৈত্রের দিনে দক্ষিণা হাওয়ায় ভাল লাগছে। কিন্তু এই সুখ কি সইবে? এই সুখ তো ক্ষনিকের জন্য । একটু পর যখন কণ্ট্রাক্টর তার গলায় ধরে বলবে টাকাটা দে হারামজাদা।
তখন এই সুখ কোথায় উড়ে যাবে। দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়ে নাহিদ। এই একটু সুখের জন্য মানুষ কিনা করে। সারাদিন খাটুনির পর একটু সুখ। সবার প্রাপ্তি। নাহিদের ও তো অধিকার আছে এই সুখে। একটু শান্তির। কিন্তু থাকবে কি এই সুখ? যদি থাকে, তাও কতক্ষণ।যখণ কাজ করে তখন মনে চায় এই পৃথিবী ছেড়ে যদি চরে যেতে পারত সে? তাহলে কতো ....হবো। কেন? এই একটু সুখের জন্য তো ........সুখ। তুই এতো দামী...........মনে মনে বলে নাহিদ।
0 Comments