অপ্সরা ।। মুঃ সাইদুল শিকদার রণি

অপ্সরা ।। মুঃ সাইদুল শিকদার রণি


সেদিন বৃষ্টি ছিল। আজও যর যর মুখোরও বাদলের দিনে............গানের সাথে তাল মিলিয়ে পড়ছিল বৃষ্টি। টিনের চালে টুপ টুপ টাপ টাপ অভিরাম পড়ছিল বৃষ্টি। আকাশের কোনো রাগ ছিল না। কনো গর্জন ছিলো না মেঘের। শান্ত শিষ্ট বর্ষণ। বর্ষণের ও কোনো তাড়া ছিল না । ধীরে ধীরে নামছিল তারা।এই বর্ষা সবাইরই ভাল লাগে। তেমনি ভাল লাগে সুমনেরও ।






 তাই সে মোবাইলে রবীন্দ্র সংগীত শুনছিল। আর জানালা দিয়ে বাহিরের বর্ষা সন্ধ্যা দেখছিল। ভাল লাগছিল তার।মাঝে মাঝে হাত বারিয়ে বর্ষা স্পর্শ করার আকুল চেষ্টা। কিন্তু জানালার উপর টিনের ছাউনি থাকায় তা পাড়ছিলো না। তবে বাতাসে বিন্দু বিন্দু বৃষ্টি কনা আসছিলো শরীরে ।হাতে মুখ্র। ভাল লাগ ছিল তার। আচমকা তার ফোনে একটি ম্যাসেজ আসে।


" বিরক্ত কর! আনমনে" বলে সুমন।
এই উপভোখ্য সন্ধ্যা কার বিরক্ত ভাল লাগে? অনিচ্ছাসত্ত্বেও মোবাইল টা হাতে নেয় ও। নামটি অপ্সরা। ফেসবুকে পরিচয়। না । ফেসবুকে বললে ভুল হবে। পরিচয় আগেই ছিল। কিন্তু কথা হতো না। মেয়েটা ওদের স্কুলেই পড়তো। এদানিং ঘনিষ্টতা। মাঝে মাঝে চ্যাট হয়। আগে থেকে মেয়েটাকে ভাল লাগতো ওর। কিন্তু কখন বললা হয় নি। আজও ভাল লাগে মেয়েটাকে। এখন কি বলবে সুমন ? না। ভাবল সুমন। ম্যাসেজটা ওপেন করল।
Aj sonday 8.30 mn te green tawor samne thakbo. asben kintu. Ice criem kayaben na?
মনে পড়েছে ওর। ওই বলেছিলো অপ্সরাকে আইসক্রিম খাওয়াবে। এখন অনেক কিছু ভুলে যায় ও। এটা কি প্রেমের কোনো লক্ষণ? না । ও বোধ হয় পাগল হয়ে যাচ্ছে।




ঘড়িতে এখন ৮.১৬ বাজে।গেলে এখনি যাওয়া উচিৎ ।তা না হলে ধীরি হবে।কিন্তু বাহিরে তো বৃষ্টি ! হঠাত কি মনে হলো ? সাদা শার্টি পড়ে বেরিয়ে গেল সুমন।ছাতা ছাড়াই। সাদা রং অপ্সরার প্রিয়। হাটতে হাটতে ও পোছে গেল গ্রিন টাওয়ারের সামনে। এখন সময় ৮.২৮ মিনিট। বার বার ঘিওরী দেখছে ও। কখন আসবে অপ্সরা ? সময় য্বন কাটতেই চায় না। রাস্তা ঘাট সব ফাকা ।মাঝে মাঝে দুএক রিক্সা আসছে। আর চলে যাছে। আচমকা অর চোখ পড়লো বা দিকে। একটি খয়রী রঙ্গয়ের ছাতা নিয়ে আসছে..................।অপ্সরা। ( চলবে )

Post a Comment

0 Comments