প্রেমের
স্বীকৃতি ১৮ জানুয়ারি,২০১৫,ঢাকা।
১২৩ লাইন
বিনাঃ এমন করে কেন?
তাকিয়ে আছো,দৃষ্টি
স্থীর করে;
আমার নয়ন মাঝে।
কি ভাবছো তুমি?
অমনি মৃদু হেসে।
কবিঃ দেখছি তোমায়,
দেখছি তোমার নয়ন
মাঝে।
কি যেন এক
আছে তোমার?
যা আমার নেশা
তোলে।
ভাবছি আমি,
কেমন করে পারলে
তুমি?
সেদিন ঝড় বৃষ্টিতে।
বিনাঃ যা![দু’হাতে
চোক ঢেকে] কি
আছে?
শুধু চাপা মারে।
আর কি করেছি
আমি সেদিন?
কবিঃ সেদিন তুমি
বললে না তো!
একটি বারের জন্যও।
আসছো না কেন
ছাতার নিচে?
কেন ভিজছো তুমি
এই ঝড় বৃষ্টিতে?
বিনাঃ এমমমম! সখ
কত?
[মুখ ভেচকি দেখিয়ে]
আমি কি করেছিলাম
বারন?
আসতে তোমায় ছাতার
নিচে।
কবিঃ কই? তুমি
ডাকলে না তো,
যেন আসি আমি
ছাতার নিচে।
বিনাঃ ইশ! কেমন
করে বলব আমি?
লজ্জা শরম
নাই নাকি?
আমিও তো ভাবছিলাম,
কেন আসছিলে না
তুমি?
আমার খুব লাগছিলো
খারাপ,
তুমি বৃষ্টিতে ভিজছিলে
বলে।
কবিঃ আমি যা ভাবছিলাম,
তা যদি জানতে;
তবে ছাতা দিয়েই
মারতে।
বিনাঃ কি? কি
ভাবেছিলে? বলে তবে।
কবিঃ ভাবছিলাম আমি
তখন,
কি দুস্য মেয়েরে
বাবা?
ছাতা দিলাম আমি ,এই
বৃষ্টিতে;
আর কি না
একটি বারও বলল না!
না ভিজে আসো
ছাতার নিচে।
বিনাঃ কি? আমি
দুস্য মেয়ে!
আমি কি করেছিলাম
নিষেধ?
পিছন ফিরে তাকিয়েছিলাম
দু’বার,
আসছো না কেন? তা
ভেবে।
তাকানোর পর,
তুমি ভিজছিলে আর
হাঁটছিলে ;
আমার পাশে পাশে।
কেন পারতে তুমি
না আসিতে ?
আমার ছাতার নিচে।
আমি ছিলাম অপেক্ষায়---
তুমি আসবে, আমার
হাতটি ধরবে।
কিন্তু তুমি আসলে
না।
কবিঃ না না, তুমি
খুব ভালো মেয়ে।
তখন আসিনি ভালই
হয়েছে,
খারাপ
হয়নি বুঝছি আজকে।
রবীঠাকুর নাকি
বলেছিলেন,
“প্রেমে যদি
কোনো থাকে প্রাপ্তি
তা হল বেদনা।”
বিনাঃ তাই বুঝি!
ওই দিন ব্যথা
পেয়েছিলে বুঝি খুব;
আর আজ তাই
কাঁদাছো আমায়।
এতে বুঝি পেয়েছো
তোমার র্স্বাথকতা ফুল !
কবিঃ না না, আমি
তা বলেনি।
খারাপ করে
দিলাম তোমার মনটা;
সরি, আমার হবে
না আর এই ভুলটা,
আমি আসলেই খারাপ
মানুষটা।
বিনাঃ আমি কি
তা বলেছি?
খারাপ ভাল তাতে
আমার কি?
কবিঃ আরে তুমি কাদঁছো
কেন?
তোমায় পাই
আর নাই পাই,
পেয়েছি তো
তোমার ভালবাসা;
এতেই আমার র্স্বাথ্যকতা।
বিনাঃ আমি ও……..।
[জড়িয়ে ধরে দু’জন দু’জনকে।]
কবিঃ কেঁদো না
তুমি লক্ষ্মী সোনা,
আর বলব না
এমন কথা।
জানো তুমি লক্ষ্মী
সোনা,
তোমার আমার ভালবাসার;
এটাই হল প্রথম
আলিঙ্গন।
বিনাঃ হুম, তো
কি হয়েছে তাতে?
কবিঃ তো এবার ছাড়ো
তবে।
বিনাঃ না, ছাড়বো
না তোমায় ;
রাখবো ধরে এমন
করে
,
আমার বুকের মাঝে।
ছাড়লে তুমি যাবে
চলে
অন্য করো কাছে।
কবিঃ কেমন করে রাখেবে
তুমি?
ধরে এমন করে;
তুমি তো এখন
অন্য কারো ঘরে।
ভেবেছো কি ? দেখলে
কেউ এমন ভাবে,
থাকবে কি
সবর্নাশের বাকি?
বিনাঃ দেখুক সবাই,দেখুক
আমি শুধু তোমার,
অন্য করো না
তো।
কবিঃ হে পাগলি,
আমিও তো তোমাকে,
রাখতে চাই এই
হৃদয়ে।
তাই বলে কি?
চক্ষু লজ্জা তো
থাকতে হয়।
বিনাঃ কেন থাকবে না?
তাই বলে কি
আমার নাই কোনো অধীকার?
কবিঃ বুঝতে চেষ্টা
কর একটি বার,
আমি বলেনি, নেই
তোমার কোনো অধিকার।
[বাম
গালে
মৃদু
চুম্বন
কবি’র।
দু’জনের
চোখ
স্থীর
পরক্ষনে
মিলে
গেল
ঠোট
গুলো
গাঢ়
চুম্বনে। ]
কবিঃ এ বেলা
যে আসতে হয় ।
বিনাঃ কেন ? কেউ
কি আছে অপেক্ষায়?
কবিঃ না, তা
নয় গো--
এবার না
গেলে কি হয় ?
এলাম তো
র্দীঘক্ষণ হয়।
[
কবি’র প্রস্থানের বেলা। হাত টেনে ধরল বিনা ।]
কবিঃ বিদয় বলে
তো আর নয় বিদয়;
আসব আবার
আমি কাল না হয়।
বিনাঃ মন তো
চাইছে না,
তবুও যেতে
দিলাম আজ তাই।
তুমি যে আজ দিলে
উপহার,
এটা
হল আমার প্রেমের প্রথম
উপহার;
প্রেমের
স্বীকৃতি।
0 Comments