১৬ই জানুয়ারী । রবিবার। কনকনে শীত। কুয়াশার ঢেকে গেছে ঢাকা। সন্ধ্যার আঁধার গ্রাস করছে পৃথিবীকে। একে একে জ্বলে উঠছে প্রতিটি বাতি। চারপাশ যেমন থাকে, তেমনি আছে। হাসপাতালে লোক আসছে, যাচ্ছে। যে যার কর্ম নিয়ে ব্যস্ত। রোগীতে হাসপাতাল গম গম করছে। তার পরও আজ দিনটা অস্বাভাবিক লাগছে। আজ পাঁচ দিন ধরে ওর মা হাসপাতালে ভর্তি আছে। কোনো দিন ওর এত অসস্থি লাগেনি। হাসপাতালের তিন তলায় ওর মা ভর্তি। পাঁচ দিন আগে ব্রেন ষ্টোক করছে। তারপর থেকে বনি হাসপাতালে ওর মার সাথে। চাপ ছিল প্রতিটি দিনই। কিন্তু আজ যেন একটু বেশীই। একটু অন্যরকম। কিছু একটা ঘটছে। সেটা মানতে পারছে না বনি। মা অসুস্থ এটা ভাবতেই বিষয়ন্নতা মন ভরে যায়। সেখানে আজ পাঁচদিন মা কথা বলতে পারে না। সবচেয়ে বড় কষ্ট। নাকের ভিতরে নল দিয়ে যখন, তরল জাতীয় খাদ্য খাওয়ানো হয়। ওফ! এতো কষ্ট মানুষের হতে পারে ! জ্ঞানহীন মার মুখের দিকে তাকালে বণির বুকটা কেঁপে উঠে।মুখে না খেতে পেরে শুকিয়ে গেছে, মার ঠোট দুট্ ো। সাদা হয়ে গেছে জিব্হা। মার কথা মনে হয়ে বড় কান্না পায় বনির। মার শেষ কথা ছিল।
“বনিকে ভাত দে। ও স্কুলে যাবে ।”
আজ মা হাসপাতালের বেডে শুয়ে। মুখ দিয়ে একফোঁটা পানিও খেতে পারে না। হাসপাতালের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল বণি। পিছনে ফিরে দেখে দুজন নার্স এসেছে। তার মাকে অন্য কেবিনে নিয়ে যাবে। কেবিনের ভিতরে গেল সে।
“কত নাম্বার কেবিনে নিবেন?”
“কেবিন নাম্বার ২১।” নার্সের জবাব
“আমি কি আসতে পারবো?”
“হ্যা আসতে পারেন । তবে ভিতরে ঢুকতে পারবেন না।”
মাকে একটি টলিতে শুয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বনি তাদের অনুসরণ করল। বোনেরা আসতে চেয়েছিল। তাদের বণি আসতে বারণ করে।
“তোমাদের আসতে হবে না। দরকার পড়লে আমি খবর দিবো।”
বলে আবার মার টলিকে অনুসরণ করল। বাবা নেই, বাহিরে গেছে। বড় ভাই গেছে এক্স রে রিপোর্ট আনতে। সে একা । কি করবে কিছু বূঝছে না ? তার মাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । ডাইলোসিস দেওয়ার জন্য। এই সম্পর্কে ওর কোনো ধারণা নেই। বাবা অথবা বড় ভাই থাকলে ভাল হতো। তারা হয়তো কিছু বুঝতে পারতো। মাকে নিয় কেবিনের ভিতরে ঢুকনো নার্সরা। বণি কেবিনের বাহিরের অপেক্ষা করছে। সময় যেন শেষ হতেই চাচ্ছে না। সে যেন অপেক্ষা করছে। বছরে পর বছর। ঘড়ির কাটার যেন ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। শেষ হয়ে গেছে তার শক্তি।ঘড়ি যেন বলতে চাচ্ছে।
“এবার শান্তি দাও আমাকে । আমি আর পারছি না।”
একজন নার্স বাহিরে এল। বণি এগিয়ে গেল তার দিকে। নার্স ওর হাতে একটি কাগজ দিল।
এই ঔষুধ গুলো নিয়ে আসেন। আর্জেন্ট।
বলে আবার ভিতরে চলে গেল। সে এখন কি করবে? তার কাছে তো কোন টাকা নেই। বাবাও আসছে না। ভাইয়া যে সেই কখন গেছে! এখনও আসছে ্ তার খুব রাগ হচ্ছে, নিজের প্রতি । কান্না পাচ্ছে। হাসপাতালের বাহিরে এল। না, কেউ নেই এখানে। আবার ভিতরে গেল। নার্স বলল।
“কি এনেছেন?”
“না আসলে, আমার কাছে কোনো টাকা নেই তো।”
‘আপনার সাথে কাউকে বলেন।”
“তারা তো বাহিরে গেছে। এখনো আসছে না।”
“তাড়াতাড়ি আনেন। ডাক্তার বসে আসে।”
বনি আবার হাসপাতালের বাহিরে আসে। না, এখনো আসে নি। আবার সে ভিতের আসে। এবার তিন তলায় যায়। বোনদের কাছে। পাশের একজন ভাদ্র লোকের কাছ থেকে টাকা ধর নেয়। বাহিরে গিয়ে সব ঔষুধ কিনে নিয়ে আসে। বাবাও এসেছে । তার সথে হাসপাতালে ঢুকতেই দেখা। সে এসে বণিকে খুজতে বের হয়েছে। ঔষুধ গুলো নিয়ে বণি নার্সকে দেয়। আবার সেই অপেক্ষা । আবার সেই ক্লান্তিতে ঘড়ির চলা। তাকিয়ে থাকে বনি। কখন বের হবে ডাক্তার। আবার দেখবে মার মুখ। একটু স্পর্ষ করবে মার গাল দুটো। চুমো খাবে কপালে। প্রতীক্ষার যেন শেষ হতে চাইছে না। বার বার আল্লাহর নাম নেয় বনি। দোয়া পাড়ে সুরা পড়ে।অনেক প্রতিক্ষার পর ডাক্তার বের হয়। সামনে এগিয়ে যায বনি। বনির বাব কেবিনের ভিতের ঢুকে। বণিকে ডাকে ডাক্তার।
“নাম কি তোমার বাবু?”
“বনি।”
“আসো আমার সাথে।”
“জি।”
বনি ডাক্তার অনুসরণ করে এগিয়ে যায়। সিড়ির কাছে গিয়ে ডাক্তার বনির কাধে হাত দেয়। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে। ডাক্তার বলে।
“আমি দেখেছি তুমি কত কষ্ট করেছো। অনেক দৌড়া- দৌড়ি করেছো। কিন্তু দেখ বাবু আমাদের হাতে তো কিছু নেই । আমরা শুধু পারি, চেষ্টা করতে।” কিছুক্ষণ থামেন ডাক্তার।
বনির বকুটা আচমকা ধুড়ফুড় করতে থাকে। কি বলতে চাচ্ছে ডাক্তার? কি বুঝাচ্ছেন তিনি? তাহলে কি সত্য ? না হতে পারে না। আবার বলে ডাক্তার।
“আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। আামাদের সাধ্য মত আমরা চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের হাতে তো কিছু না। সব আল্লাহর হাতে। ”বলে ডাক্তার চলে যায়।
বনি নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে রইল। সে কি করবে? কিছুই বুঝতে পারছে না। কোথায় বাবে। বোনদের খরব দিবে। নাকি মার কাছে যাবে। সে কি পারবে দেখতে? তার মার মুখ সাদা কাপড় দিয়ে ঢাকা। বোনদের গিয়ে কি খরব দেওয়া কি হবে? সি নিজেও বা কি করতে। মূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। হঠাৎ নিচের দিকে দৌড় দিল। এক দৌড়ে এসে থমকে দাঁড়ায় সে। কেবিনের দিকে তাকায়। ওয়ার্ড নাম্বার ২১ । ভিতরে ঢুকে বনি। বাবা তার সুলতান ভাই মাকে তুলছে। বণিও গিয়ে হাত লাগায়। এক বেড দিয়ে আরেক বেডে নিয়ে যায়। বাবা মার গলায় হাত দেলো।
“না, নেই।”
বনির বাবা কত সহজ ভাবে কথাটা বলল?! কিন্তু বনির মনে হচ্ছে। হাসপাতালের ছাদটা যেন ভেঙ্গে পড়ল তার মাথায় । যেন সুনামী বয়ে গেল তার জীবনে। বণি মার দিকে তাকায় । আবার বাবার মুখের দিকে।আবার মায়ের মুখের দিকে তাকায় । তারপর কোনো কথা মা বলে, বাহিরে চলে আসে। বাহিরের বারান্দায় টুলে বসে। তার খুব কাঁদতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু পারছে না। তার কান্না আসছে না। সে চেষ্টা করছে কাঁদতে । কিন্তু পারছে না। তার বাবা পাশে এসে বসে । তার মাথার হাত দেয়। টেনে বুকে নিয়ে যায়। বনির চোখটা ভিজে এসেছে। বনির বাবা বনির চোখটা মুছে দেয়।
“এই কাঁদ বিনা। তুই যদি কাঁদিস, বসার কি করবে?”
“না কাদুম না?”বলে চোখ মুছে।
সত্যই তো । সে যদি কাঁদে তার ভাই-বোনরা কি করবে? তারা তো সহ্যই করতে পারবে না। তার ভাই তার চেয়ে মা পাগল। খুব নরম সে। না। ভাইকে বলা যাবে না যে, মা নেই। বণি ও তার বাবা বাহিরে চলে আসে। বোনেরা যেন কিভাবে খবর পেয়েছে? তারাও চলে এসেছে। বনিকে দেখে তারা কান্নায় ভেঙ্গে পরে। বনি তাদের শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করে। এমন সময় বনির ভাই ও চলে আসে। বনির ভাই বশার কিছুই জানে না । সে এসে দেখে বোনেরা চিৎকার কাঁদছে করে। ভাই বনির মুখ ফ্যাকাশে। কিছুই বলতে হয়নি তাকে। সে সব বুঝে নিয়েছে । বশার দৌড়ে এসে বনিকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়। বনির ও চোখ থেকে ঝড়তে থাকে অশ্রু বিন্দু। বনি আর শান্তনা দিতে চায় না ভাইকে কাঁদুক। কান্নাই হালকা করবে দু:খকে। মুছে যাক সকল কষ্ট - দু:খ। বণিও জড়িয়ে ধরে ভাইকে।
মুহাম্মদ সাইদুল শকিদার রণি
“বনিকে ভাত দে। ও স্কুলে যাবে ।”
আজ মা হাসপাতালের বেডে শুয়ে। মুখ দিয়ে একফোঁটা পানিও খেতে পারে না। হাসপাতালের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল বণি। পিছনে ফিরে দেখে দুজন নার্স এসেছে। তার মাকে অন্য কেবিনে নিয়ে যাবে। কেবিনের ভিতরে গেল সে।
“কত নাম্বার কেবিনে নিবেন?”
“কেবিন নাম্বার ২১।” নার্সের জবাব
“আমি কি আসতে পারবো?”
“হ্যা আসতে পারেন । তবে ভিতরে ঢুকতে পারবেন না।”
মাকে একটি টলিতে শুয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বনি তাদের অনুসরণ করল। বোনেরা আসতে চেয়েছিল। তাদের বণি আসতে বারণ করে।
“তোমাদের আসতে হবে না। দরকার পড়লে আমি খবর দিবো।”
বলে আবার মার টলিকে অনুসরণ করল। বাবা নেই, বাহিরে গেছে। বড় ভাই গেছে এক্স রে রিপোর্ট আনতে। সে একা । কি করবে কিছু বূঝছে না ? তার মাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । ডাইলোসিস দেওয়ার জন্য। এই সম্পর্কে ওর কোনো ধারণা নেই। বাবা অথবা বড় ভাই থাকলে ভাল হতো। তারা হয়তো কিছু বুঝতে পারতো। মাকে নিয় কেবিনের ভিতরে ঢুকনো নার্সরা। বণি কেবিনের বাহিরের অপেক্ষা করছে। সময় যেন শেষ হতেই চাচ্ছে না। সে যেন অপেক্ষা করছে। বছরে পর বছর। ঘড়ির কাটার যেন ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। শেষ হয়ে গেছে তার শক্তি।ঘড়ি যেন বলতে চাচ্ছে।
“এবার শান্তি দাও আমাকে । আমি আর পারছি না।”
একজন নার্স বাহিরে এল। বণি এগিয়ে গেল তার দিকে। নার্স ওর হাতে একটি কাগজ দিল।
এই ঔষুধ গুলো নিয়ে আসেন। আর্জেন্ট।
বলে আবার ভিতরে চলে গেল। সে এখন কি করবে? তার কাছে তো কোন টাকা নেই। বাবাও আসছে না। ভাইয়া যে সেই কখন গেছে! এখনও আসছে ্ তার খুব রাগ হচ্ছে, নিজের প্রতি । কান্না পাচ্ছে। হাসপাতালের বাহিরে এল। না, কেউ নেই এখানে। আবার ভিতরে গেল। নার্স বলল।
“কি এনেছেন?”
“না আসলে, আমার কাছে কোনো টাকা নেই তো।”
‘আপনার সাথে কাউকে বলেন।”
“তারা তো বাহিরে গেছে। এখনো আসছে না।”
“তাড়াতাড়ি আনেন। ডাক্তার বসে আসে।”
বনি আবার হাসপাতালের বাহিরে আসে। না, এখনো আসে নি। আবার সে ভিতের আসে। এবার তিন তলায় যায়। বোনদের কাছে। পাশের একজন ভাদ্র লোকের কাছ থেকে টাকা ধর নেয়। বাহিরে গিয়ে সব ঔষুধ কিনে নিয়ে আসে। বাবাও এসেছে । তার সথে হাসপাতালে ঢুকতেই দেখা। সে এসে বণিকে খুজতে বের হয়েছে। ঔষুধ গুলো নিয়ে বণি নার্সকে দেয়। আবার সেই অপেক্ষা । আবার সেই ক্লান্তিতে ঘড়ির চলা। তাকিয়ে থাকে বনি। কখন বের হবে ডাক্তার। আবার দেখবে মার মুখ। একটু স্পর্ষ করবে মার গাল দুটো। চুমো খাবে কপালে। প্রতীক্ষার যেন শেষ হতে চাইছে না। বার বার আল্লাহর নাম নেয় বনি। দোয়া পাড়ে সুরা পড়ে।অনেক প্রতিক্ষার পর ডাক্তার বের হয়। সামনে এগিয়ে যায বনি। বনির বাব কেবিনের ভিতের ঢুকে। বণিকে ডাকে ডাক্তার।
“নাম কি তোমার বাবু?”
“বনি।”
“আসো আমার সাথে।”
“জি।”
বনি ডাক্তার অনুসরণ করে এগিয়ে যায়। সিড়ির কাছে গিয়ে ডাক্তার বনির কাধে হাত দেয়। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে। ডাক্তার বলে।
“আমি দেখেছি তুমি কত কষ্ট করেছো। অনেক দৌড়া- দৌড়ি করেছো। কিন্তু দেখ বাবু আমাদের হাতে তো কিছু নেই । আমরা শুধু পারি, চেষ্টা করতে।” কিছুক্ষণ থামেন ডাক্তার।
বনির বকুটা আচমকা ধুড়ফুড় করতে থাকে। কি বলতে চাচ্ছে ডাক্তার? কি বুঝাচ্ছেন তিনি? তাহলে কি সত্য ? না হতে পারে না। আবার বলে ডাক্তার।
“আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। আামাদের সাধ্য মত আমরা চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের হাতে তো কিছু না। সব আল্লাহর হাতে। ”বলে ডাক্তার চলে যায়।
বনি নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে রইল। সে কি করবে? কিছুই বুঝতে পারছে না। কোথায় বাবে। বোনদের খরব দিবে। নাকি মার কাছে যাবে। সে কি পারবে দেখতে? তার মার মুখ সাদা কাপড় দিয়ে ঢাকা। বোনদের গিয়ে কি খরব দেওয়া কি হবে? সি নিজেও বা কি করতে। মূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। হঠাৎ নিচের দিকে দৌড় দিল। এক দৌড়ে এসে থমকে দাঁড়ায় সে। কেবিনের দিকে তাকায়। ওয়ার্ড নাম্বার ২১ । ভিতরে ঢুকে বনি। বাবা তার সুলতান ভাই মাকে তুলছে। বণিও গিয়ে হাত লাগায়। এক বেড দিয়ে আরেক বেডে নিয়ে যায়। বাবা মার গলায় হাত দেলো।
“না, নেই।”
বনির বাবা কত সহজ ভাবে কথাটা বলল?! কিন্তু বনির মনে হচ্ছে। হাসপাতালের ছাদটা যেন ভেঙ্গে পড়ল তার মাথায় । যেন সুনামী বয়ে গেল তার জীবনে। বণি মার দিকে তাকায় । আবার বাবার মুখের দিকে।আবার মায়ের মুখের দিকে তাকায় । তারপর কোনো কথা মা বলে, বাহিরে চলে আসে। বাহিরের বারান্দায় টুলে বসে। তার খুব কাঁদতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু পারছে না। তার কান্না আসছে না। সে চেষ্টা করছে কাঁদতে । কিন্তু পারছে না। তার বাবা পাশে এসে বসে । তার মাথার হাত দেয়। টেনে বুকে নিয়ে যায়। বনির চোখটা ভিজে এসেছে। বনির বাবা বনির চোখটা মুছে দেয়।
“এই কাঁদ বিনা। তুই যদি কাঁদিস, বসার কি করবে?”
“না কাদুম না?”বলে চোখ মুছে।
সত্যই তো । সে যদি কাঁদে তার ভাই-বোনরা কি করবে? তারা তো সহ্যই করতে পারবে না। তার ভাই তার চেয়ে মা পাগল। খুব নরম সে। না। ভাইকে বলা যাবে না যে, মা নেই। বণি ও তার বাবা বাহিরে চলে আসে। বোনেরা যেন কিভাবে খবর পেয়েছে? তারাও চলে এসেছে। বনিকে দেখে তারা কান্নায় ভেঙ্গে পরে। বনি তাদের শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করে। এমন সময় বনির ভাই ও চলে আসে। বনির ভাই বশার কিছুই জানে না । সে এসে দেখে বোনেরা চিৎকার কাঁদছে করে। ভাই বনির মুখ ফ্যাকাশে। কিছুই বলতে হয়নি তাকে। সে সব বুঝে নিয়েছে । বশার দৌড়ে এসে বনিকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়। বনির ও চোখ থেকে ঝড়তে থাকে অশ্রু বিন্দু। বনি আর শান্তনা দিতে চায় না ভাইকে কাঁদুক। কান্নাই হালকা করবে দু:খকে। মুছে যাক সকল কষ্ট - দু:খ। বণিও জড়িয়ে ধরে ভাইকে।
মুহাম্মদ সাইদুল শকিদার রণি
0 Comments